স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন-জাতীয় শিক্ষক ফোরাম
আজ ১৫ অক্টোবর ২০২০, বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার যৌথ উদ্যোগে এইচএসসি ও সমমানে অটোপাস পুনর্বিবেচনা এবং দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবীতে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন।
সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক অধ্যাপক নাছির উদ্দীন খানের সভাপতিত্বে এবং নগর উত্তর আহবায়ক প্রভাষক আব্দুস সবুর এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, সংগঠনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা।
বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সচিব হুমায়ুন কবির, শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ কামরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় সহ কওমি মাদরাসা বিষয়ক সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহমান বেতাগী, মাদরাসা কল্যাণ ফোরাম এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুফতি মানসুর আহমদ সাকি, কেন্দ্রীয় সদস্য মুফতি ফজলুল করিম, ঢাকা মহানগর উত্তর সদস্য সচিব মোল্লা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, মু. শাহজালাল প্রমূখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম বলেন, বাসের দরজায় হাজার হাজার মানুষ ঝুলে, পোশাক কারখানায় লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কাজ করছে, আইন আদালত চলছে, সরকারি বেসরকারি অফিসে গরহাজির নেই। তবে কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে?
তিনি বলেন, সংসদীয় উপনির্বাচন থেকে ইউনিয়ন নির্বাচন অনুষ্ঠানে সমস্যা না হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও সমস্যা হবার কথা নয়। তিনি সরকারের দ্বিমুখী নীতির আচরণ পরিবর্তন করে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। তিনি বলেন, করোনাকালীন পৃথিবীর কোন দেশ এমনকি প্রতিবেশী দেশ ভারত এখন পর্যন্ত অটোপাসের মত আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে সাহস পায়নি। এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবিদের পরামর্শে সরকার শিক্ষার্থীদের জীবন ধ্বংস এবং শিক্ষাব্যবস্থাকে দূর্বল করতে অযাচিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান বলেন, অটোপাসের ঘোষণা দিয়ে প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দেয়া হয়েছে। অপরদিকে হাজার হাজার কিন্ডারগার্টেন এবং স্কুল বন্ধ থাকায় প্রায় ৮ লক্ষ শিক্ষক-কর্মচারী মানবেতর জীবনযাপন করছে। যা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তিনি দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া এবং দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন এবং স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জোর দাবী জানান।