শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে আগামী প্রজন্মকে ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে
পীর সাহেব চরমোনাই
ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড বলে সর্বজনস্বীকৃত। উন্নয়নশীল দেশের অগ্রগতি ধরে রাখতে মানবসম্পদের উন্নয়ন প্রধান কৌশল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার শিক্ষাখাত নিয়ে যা করছে তা আমাদের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেয়ার অপচেষ্টা বলে প্রতিয়মান হচ্ছে। সারাদেশের সকল কিছু খুলে দিয়ে কেবল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাখায় আমাদের সম্ভাবনাময় আগামী প্রজন্ম ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। প্রজন্ম ধ্বংসের এই চক্রান্ত আর সহ্য করা যায় না।
আজ ২৮ আগস্ট ২০২১ শনিবার, বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মজলিসে আমেলার এক নিয়মিত বৈঠকে পীর সাহেব চরমোনাই উপরোক্ত কথা বলেন। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনে পুর্বানুমতি নিতে হবে মর্মে সরকারি সিদ্ধান্তের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ধর্মীয় স্বাধীনতা মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর একটি। কিন্তু এই সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ভোটাধিকার হরনের পাশাপাশি এখন ধর্মীয় অধিকারও হরন করার পাঁয়তারা করছে। এই প্রবণতা কারো জন্যই কল্যাণকর নয়।
বৈঠকে উপস্থিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, বর্তমান ইসি’র মেয়াদ শেষের দিকে। এই ইসি যা করেছে, তাতে ইতিহাসের অন্ধকারতম স্থানে তাদের জায়গা হবে মনে হয়। তবে শেষ সময়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে তারা নিজেদের পাপ কিছুটা মোচন করতে পারেন।
দলের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, আগামী ইসি’র মাধ্যমেই জাতীয় নির্বাাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফলে আগামী নির্বাচন কমিশন হতে হবে সবার কাছে গ্রহনযোগ্য। দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন যে হয় না, তা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট। তাই মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়া ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।
কর্মসূচি : বৈঠকে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবীতে আগামী ৩১ আগস্ট ঢাকায় ও ২ সেপ্টেম্বর জেলায় জেলায় মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
উক্ত বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদশ-এর নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী, আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কাদের, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব হারুনুর রশিদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি হেমায়েতুল্লাহ, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতি সৈয়দ ইসহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ নুরুল করিম, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শেখ লুৎফর রহমান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আলহাজ্ব মনির হোসেন, মহিলা ও পরিবারকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মকবুল হোসাইন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, জি এম রুহুল আমিন, মাওলানা মুহাম্মাদ শোয়াইব, এডভোকেট মাহমুদুল হাসান, সহ-অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা নুরুল ইসলাম আল আমিন, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শেখ ফজলুল করিম মারুফ, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন সাকী, সহ-আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শওকত আলী, সদস্য আলহাজ্ব সেলিম মাহমুদ।