৫৫/বি (৩য় তলা), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০

ফোন : ০২-৯৫৬৭১৩০, ফ্যাক্স : ০২-৭১৬১০৮০

ইসলামী আন্দোলন ক্ষমতায় এলে রাষ্ট্র দারিদ্রতা ও ক্ষুধা মুক্ত হতে দেরী হবে না

জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
-পীর সাহেব চরমোনাই

ভোট ডাকাতের রুখে দিতে ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ আজ সরকার দলীয় লোকজনের জুলুম-অত্যাচারে অতিষ্ট। জনগণে অধিকার বলেতে এখন আর কিছুই নেই। যে দেশে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়, তার চেয়ে বড় জবরদস্তি আর কি হতে পারে? সরকার একযুগেরও বেশি সময় ধরে যা করেছে তা দেশের মানুষ সবই দেখেছে। এখন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে আবারও ভোট ডাকাতির পাঁয়তারা করছে। এদেশের মাটিতে আর কোন ভোট ডাকাতি হতে দেব না। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

রোববার (২ জানুয়ারি ২০২২) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের সমাজকল্যাণ বিভাগের আয়োজনে রাজধানীর বাড্ডা নতুন বাজারস্থ খন্দকার বাড়ি জামে মসজিদের সামনে অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ভ্যান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ৫০ বছরেরও বেশি সময় পার হয়েছে। এখন পর্যন্ত একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনের রূপরেখা করা সম্ভব হয়নি। এখনো জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে আন্দোলন করতে হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী যে ৩টি দল রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে ছিলো তারা সকলেই সংবিধানকে অবজ্ঞা করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। যারা বিগত দিনে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করে জনগণের অধিকারকে কুক্ষিগত করেছে, তাদেরকে অবশ্যই জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মহামান্য প্রেসিডেন্ট সংলাপ করছেন। এ সংলাপে ফলপ্রসূ কিছু হবে বলে আমরা মনে করছি না। কারণ অতীতেও দুটি সংলাপ হয়েছে তাতে জনপ্রত্যাশা পূরণ হয়নি। চলমান সংলাপেও এর ব্যতিক্রম কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তিনি আরও বলেন, এর চেয়ে বেশি জরুরী নির্বাচনকালীন সরকার কাঠামো নিয়ে সংলাপ। দেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কিভাবে হবে, তা নিয়ে সংলাপ হওয়া উচিৎ।

মুফতি রেজাউল করীম বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন করতে হবে এবং নির্বাচনের সময় অবশ্যই অন্তবর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে লেজুড়বৃত্তি করা কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে স্থায়ীভাবে তাদের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে।

এসময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সেক্রেটারি মাওলানা আরিফুল ইসলাম, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন পরশ, দফতর সম্পাদক মাওলানা নিজাম উদ্দিন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আলহাজ্ব মঞ্জুরুল ইসলাম সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রায় অর্ধশত দুঃস্থ পরিবারের কর্মক্ষম মানুষের মাঝে ভ্যান বিতরণ করা হয়।

শেয়ার করুন

অন্যান্য সামাজিক কার্যক্রম, খেদমতে খালক

Scroll to Top

সদস্য ফরম

নিচের ফরমটি পূরণ করে প্রাথমিক সদস্য হোন

small_c_popup.png

প্রশ্ন করার জন্য নিচের ফরমটি পূরণ করে পাঠিয়ে দিন