৫৫/বি (৩য় তলা), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০

ফোন : ০২-৯৫৬৭১৩০, ফ্যাক্স : ০২-৭১৬১০৮০

জনগণকে দুর্ভিক্ষের ভয় না দেখিয়ে লুটপাট বন্ধ করুন – মহেশপুরে জনসভায় মুফতী ফয়জুল করীম

রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিকল্প নেই

– মুফতী ফয়জুল করীম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়েখে চরমোনাই) বলেছেন, দেশের মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছে। দেশে রাজনৈতিক সঙ্কটাপন্ন অবস্থা বিরাজ করছে। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে একটি সর্বজন গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, সরকার জনগণকে দুর্ভিক্ষের ভয় দেখাচ্ছে। ফলে লুটেরারা লুটপাটের আরও সুযোগ নেবে। কৃষকরা উৎপাদন বাড়াতে প্রস্তুত; তাদের যথাযথ সহায়তার প্রয়োজন। আর উৎপাদিত ও নিত্যপণ্যের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে পারলে দেশে কোন সংকট থাকবে না।

বুধবার বিকেলে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে স্থানীয় একটি অডিটোরিয়ামে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশচুম্বি মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, শিক্ষা সিলেবাসে ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচনের প্রতিবাদ, মদের বিধিমালা বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এবং দরিদ্রমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতীয় মহাসমাবেশ থেকে ঘোষিত ১৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উল্লেখ্য যে, মহেশপুর স্কুল মাঠে জনসভার অনুমতি দেয়ার পরও প্রশাসন অনুমতি বাতিল করায় স্থানীয় একটি অডিটোরিয়ামে প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। জনসভায় আগত হাজার হাজার শ্রোতা অডিটোরিয়ামে জায়গা না পেয়ে খোলা আকাশের নিচে বসে বক্তব্য শুনছেন।

সংগঠনের মহেশপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সরোয়ার হোসেন-এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা হুমায়ূন কবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী আহমাদ আবদুল জলিল।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি ডা. এইচ এম মোমতাজুল করীম, সহ-সভাপতি মুফতী মাহমুদুল হাসান হুমায়ুন, সেক্রেটারি প্রভাষক মাওলানা শিহাব উদ্দীন, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মুফতী মুহাম্মাদ রাসেল উদ্দীন, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি মুফতী মুহাম্মাদ আলী হুসাইন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সাধারণ সম্পাদক এইচ এম নাঈম মাহমুদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ।

মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণের দাম আশংকাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় মানুষ অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছে। বিভিন্ন মিডিয়ার জরিপে উঠে এসেছে, দেশের ৬৮ ভাগ মানুষ খাবার কিনতেই হিমশিম খাচ্ছে। খাবার কিনতে সম্পদ বিক্রি করছে মানুষ। বড় একটি অংশ ঋণ করে চলছে। দেশের সম্পদ বিদেশে পাঁচার হয়ে যাওয়ায় অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী সিলেবাস থেকে কৌশলে ইসলামী শিক্ষাকে বিদায়ের নানামুখি আয়োজন সম্পন্ন করেছেন। তিনি সিলেবাসে হিন্দুত্ববাদী শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে মরিয়া হয়ে উঠছেন। ইসলামী শিক্ষাকে নামমাত্র রেখে পাবলিক পরীক্ষা থেকে বাদ দিয়েছেন। ডারউইনের নাস্তিক্যবাদী অযৌক্তিক মতবাদ সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করে কোমলমতি মুসলিম শিশুদের নাস্তিক্যবাদে ধাবিত করার চক্রান্ত চলছে। তিনি মানুষের মৌলিক ও ভোটের অধিকার দিতে ব্যর্থ সরকার পুরোনো স্বৈরাচারী কায়দায় যেনতেন নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে বলে মন্তব্য করেন।

[প্রেস বিজ্ঞপ্তি]

 

শেয়ার করুন

অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মসূচি, গণআন্দোলন

Scroll to Top

সদস্য ফরম

নিচের ফরমটি পূরণ করে প্রাথমিক সদস্য হোন

small_c_popup.png

প্রশ্ন করার জন্য নিচের ফরমটি পূরণ করে পাঠিয়ে দিন