ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, দেশের রাজনীতিতে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হলে ওলামায়ে কেরামকে মূখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। ওলামায়ে কেরাম রাজনীতিতে পিছিয়ে থাকার কারণে আজ দুর্নীতিবাজরা দেশ শাসন করছে; যার ফলে দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে। তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে নেতৃত্ব দেওয়াটাও ওলামায়ে কেরামের দায়িত্ব। ইসলামী রাজনীতিতে সম্পৃক্ত না হলে, শোষিত-বঞ্চিত, মজলুম গণমানুষের পক্ষে ভূমিকা না রাখলে সমাজের নেতৃত্ব কোন দিনও জালেমের হাত থেকে আলেমদের হাতে আসবে না। যেখানে যতটুকু ওলামাদের নেতৃত্ব আছে সেখানে ততটুকু মানুষ শান্তিতে আছে। কাজেই ওলামাদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। দেশ ও জাতি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এ মুহুর্তে ওলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
৫ জানুয়ারি ২০২২ বুধবার, বেলা ১১টায় কুমিল্লা শহরের কারীমিয়া মাদরাসা ময়দানে জাতীয় উলামা মাশায়েখ-আইম্মা পরিষদ কুমিল্লা জেলা উত্তর আয়োজিত ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন।
সংগঠনের কুমিল্লা জেলা উত্তরের সভাপতি মাওলানা মাহবুবুর রহমান আশরাফী’র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আতহার নোমানী’র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই।
বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা জেলা সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ তৈয়্যব, সেক্রেটারি মাওলানা নূর হোসাইন, কাসেমুল উলূম মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, বদরপুর মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল হাকিম, চান্দিনা আল আমিন মাদরাসার মুহাদ্দিস আলী আশরাফ কুটুমপুরী প্রমুখ।
মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, ওলামায়ে কেরামগণই হলেন ইসলামের প্রধান ব্যক্তি। তারাই রাসূল সা. থেকে ধারাবাহিকভাবে উম্মাহকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। বিভিন্ন সময় জেল-জুলুম-নিপিড়ন সহ্য করে উম্মাহকে এগিয়ে নিয়েছেন। তিনি বলেন, উম্মাহকে নেতৃত্ব দেয়ার এই কাজ জটিল ও কঠিন। এখানে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের প্রয়োজন হয়। বিশেষজ্ঞ নেতৃত্ব না হলে হোচট খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ওলামারা দুনিয়াবি সম্পদ ও ক্ষমতাকে সর্বদাই এড়িয়ে চলেন। তারা নিবৃত্তে জাতি গঠনে কাজ করে যান। কিন্তু দুঃখের কথা হলো, ইসলামবিরোধী কায়েমি স্বার্থবাদি শক্তি বারংবারই ওলামাদের ওপরে খড়গহস্ত হয়। গ্রেফতার, হামলা, মামলার মাধ্যমে দাঈ ও ওলামাদের হয়রানী করা হয়। আতংক তৈরি করে দাওয়াহ-শিক্ষা ও আন্দোলনের পথকে রুদ্ধ করার চেষ্টা করে। যার পরিণতি কখনোই ভালো হয় না।