সরকারি আলিয়া মাদরাসার ছাত্রাবাসের (হল) সুপারের ভবন এবং ছাত্রাবাসের গেইট অপসারণ করে ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। হলের জায়গার পরিবর্তে খেলার মাঠের খালি জায়গায় অধিদপ্তরের ভবন নির্মাণ করা যেতে পারে। কিন্তু তা না করে হঠাৎ করে ৬ ঘণ্টার নোটিশে হল ছাড়ার নোটিশ শিক্ষার্থীদের জীবনকে বিষন্ন করে তুলবে।
১৩ জানুয়ারি ২০২২ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মাদরাসা শিক্ষার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়া এবং আল্লামা কাশগরী রহ. হলের সুপার ও সহকারী সুপারের বাসভবন এবং আল্লামা কাশগরী ও ইব্রাহীম হল। হলের প্রবেশ গেইট অপসারণ করে সে স্থানে ভবন নির্মাণ করে মাদরাসার ঐতিহ্য নষ্ট করা উচিত হবে না।
বিবৃতিতে মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, সরকারি মাদরাসা-ই আলিয়ার জায়গা ও হল দখল না করে অন্যত্র কারিগরি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলুন। দেশে সরকারি জায়গার অভাব নেই। মাদরাসা ছাত্রাবাস দখলে নিয়ে সরকার কারিগরি প্রতিষ্ঠানের নামে মাদরাসার শিক্ষা নিয়ে ষড়যন্ত্র করলে, সরকারের জন্য তা সুখকর হবে না। মাদরাসা শিক্ষাবিরোধী একটি চক্র আলিয়া মাদরাসার ছাত্রাবাসের জায়গা দখল নিতে মাদরাসা ছাত্রাবাস বন্ধ করে দিয়েছে; যা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ।
তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই আবাসিক হল বন্ধ করা যাবে না। শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন করতে হবে। হল প্রাঙ্গণে অধিদপ্তর নির্মাণ না করে অন্যত্র করা হোক। সেই সাথে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর আরোপিত সকল প্রকার হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নিতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে কোন ধরণের বাণিজ্য করার চিন্তা বাদ দিতে হবে।