বন্ধুত্বের নামে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের মোড়লীপনা সহ্য করা হবে না -শায়খে চরমোনাই
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, করোনাকালীন ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফরকে ঘিরে দেশবাসীর মধ্যে শংকা ও গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এই দ্বিপাক্ষিক সফরের বিষয়টি নিয়ে লুকোচুরি করা হয়েছে। উক্ত সফর সম্পর্কে দেশবাসী জানতে চায়। দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট হলে এই সফর নিয়ে এত লুকোচুরি কেন? অনতিবিলম্বে দেশবাসীর নিকট সফরের বিস্তারিত প্রকাশ করা হোক।
আজ ২৩ আগস্ট’২০ইং রবিবার সকাল ১০টায় ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শায়খে চরমোনাই উপর্যুক্ত কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বলা হচ্ছে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সাথে ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি, ভারতের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ও নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ), সীমান্ত হত্যাকা- এবং রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় কোনো আলোচনাই হয়নি। যাতে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নয়; বরং ভারতের মোড়লীপনা প্রকাশ পেয়েছে । প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এমন মোড়লীপনা দেশের মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে। সাথে সাথে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফরের আড়ালে যেকোনো ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ রুখে দেবে ইনশাআল্লাহ।
শায়খে চরমোনাই আরো বলেন, দেশে যখন ছাত্র রাজনীতির নামে সন্ত্রাসবাদের মন্ত্র শেখানো হচ্ছিল, তখন ইশা ছাত্র আন্দোলন এক আলোকবর্তিকা হয়ে আগমন করেছে এদেশে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২৯ বছরের বিপ্লবী পথযাত্রায় সংগঠনটি দেশের ত্রি-ধারার শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা গঠন ও নেতৃত্ব বিকাশে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। দেশের জাতীয় নেতৃত্ব তৈরিতে সংগঠনের নেতাকর্মীরা টার্গেটভিত্তিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এম. হাছিবুল ইসলাম বলেন, করোনা সৃষ্ট বিপর্যয়ে বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীর শিক্ষাব্যবস্থা আজ ভেঙ্গে পড়েছে। সেদিকে লক্ষ রেখে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দেয়া হচ্ছে। সুতরাং বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ করে রাখার কোন সুযোগ নেই। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনতিবিলম্বে খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, দলের রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আহমাদ আব্দুল কাইয়ূম, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা নেছার উদ্দিন, ইশা ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি বরকত উল্লাহ লতিফ।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল করীম আকরাম-এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুল জলিল, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুজ্জাহের আরেফী, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহা. আল আমীন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ইউসুফ আহমাদ মানসুর, প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক এম এম শোয়াইব, অফিস ও যোগাযোগ সম্পাদক গাজী মুহাম্মাদ ওসমান গণী, প্রকাশনা সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মাদ ইবরাহীম হুসাইন, কওমি মাদরাসা সম্পাদক নূরুল বশর আজিজী, স্কুল সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মশিউর রহমান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাক মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সোলাইমান দেওয়ান সাকিব, জামালুদ্দিন মুহাম্মাদ খালিদ, মুনতাছির আহমাদ সহ কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্যবৃন্দ ও ঢাকা নগর নেতৃবৃন্দ।
বার্তা প্রেরক
কে এম শরীয়াতুল্লাহ
কেন্দ্রীয় প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন