ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর আজ ২৭ মার্চ’২৫ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, বাংলা বর্ষবরণ বাঙালির নিজস্ব সাল গণনা সংক্রান্ত একটা উৎসব। গ্রামবাংলায় এর আয়োজনের নিজস্ব ও ঐতিহ্যবাহী একটা রীতি বিরাজমান ছিলো। তাতে আমাদের প্রাণ ও প্রকৃতির ছোঁয়া লক্ষ করা যেতো। কিন্তু এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে মুসলিম বিশ্বাস বিরোধী সংস্কৃতির বিস্তার করার অপচেষ্টা হয়েছে। বিশেষ করে পতিত স্বৈরাচারের আমলে পয়লা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে যেভাবে কলকাতার উচ্চবর্ণীয় হিন্দু সংস্কৃতির বিস্তার ঘটানো হয়েছে তা দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠির বিশ্বাস ও অনুভুতিকে আঘাত করেছে।
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টার প্রাথমিক কথাবার্তায় মনে হয়েছিলো তিনি উৎসব কেন্দ্রিক পতিত স্বৈরাচারের চর্চিত রীতি থেকে সরে আসবেন। কিন্তু আমরা হতাশার সাথে লক্ষ করছি যে, এর নাম “মঙ্গল শোভাযাত্রা”ই রাখা হয়েছে। যা স্পষ্টত মুসলমানদের বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক। ইসলামী আন্দোলন মনে করে দেশের বৃহৎ জনগোষ্টির বিশ্বাসে আঘাত করে কোন উৎসবকে সার্বজনীন করা যায় না।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র বলেন, দেশের মানুষের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারের আস্কারাপ্রাপ্ত সাংস্কৃতিক লড়াই যদি অভ্যুত্থান পববর্তী অন্তর্বর্তী সরকার অব্যাহত রাখে তাহলে জনগণ হতাশ হবে এবং এর পরিনতি ভালো কিছু হবে না। তাই পয়লা বৈশাখ কেন্দ্রিক আয়োজনের নাম এবং আয়োজন থেকে ইসলামের বিশ্বাস ও সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক এমন সবকিছুকে বাদ দিতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব বলেন, ঈদ অত্যাসন্ন। কিন্তু এখনো অনেক শ্রমিক তাদের মজুরী বুঝে পায় নাই। সরকারকে দায়িত্ব নিয়ে এর সমাধান করতে হবে। ঘরমুখি মানুষের যাত্রা যাতে নিরাপদ ও সাচ্ছন্দ হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে এবং ঈদের সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। পতিত স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা যাতে কোন সুযোগ নিতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।