ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেছেন, ধর্ষণের ক্ষেত্রে ৯০ দিনের মধ্যে শুধু বিচার নয় বরং ৯০ দিনের মধ্যে রায়ের বাস্তবায়ন করতে হবে। কারণ, আমাদের বিচার ব্যবস্থায় নিন্ম আদালত, উচ্চ আদালত, আপিল বিভাগের দীর্ঘসূত্রিতা রয়েছে। ফলে গতকাল আইন উপদেষ্টা যা বলেছেন তা অস্পষ্ট। ৯০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন হবে এর অর্থ কি? ৯০ দিনের মধ্যে নিন্মআদালত রায় দিলে সেই রায় উচ্চ আদালত, আপিল বিভাগ হয়ে কার্যকর হতে হতে বছরের পর বছর পেড়িয়ে যাবে। আর যদি সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয় তাহলে তার বাস্তবায়ন অনির্দিষ্টকালের জন্য ঝুলে যায়।
তিনি বলেন, এখানে তদন্ত কর্মকর্তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, অনেক মামলার ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তদন্তের দুর্বলতা ও প্রতিবেদনের ভাষার মারপ্যাচে সর্বোচ্চ শাস্তির রায় আপিল বিভাগে আর বহাল থাকে না। এর সাথে ধর্ষকের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক ও আর্থিক চাপ তো থাকেই। যার ফলে ধর্ষণের অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি হয়েছে এমন নজীর কম। এ কারণেই ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, ইসলামী বিচারব্যবস্থায় ধর্ষণের জন্য দ্রুত, প্রকাশ্য ও কঠোর শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। সেটা প্রয়োগ করা গেলে সমাজে ধর্ষণের ব্যাপারে ভয় তৈরি হতো, হাজারো নিরপরাধ শিশু ও নারী রক্ষা পেতো।
অধ্যক্ষ ইউনুস আহমেদ বলেন, আমাদের বিচার ব্যবস্থায় এমন হাজারো নজীর রয়েছে যেখানে ধর্ষক একটা সময় পরে জামিন পেয়ে নির্যাতিতের সামনে স্বদর্পে বিচরণ করছে; যা সমাজে ধর্ষণের অপরাধকে হালকা করে ফেলেছে। তাই এই ক্ষেত্রে আইনগত কোন ফাঁকফোঁকর রাখার কোন সুযোগ নাই। আইনের যে ধারা ধর্ষককে সুবিধা দেয় তা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে এবং ধর্ষকের বিচার দ্রুত, কঠোর ও প্রকাশ্য করতে যা যা করতে হয় তাই করতে হবে। অন্যথায় ধর্ষকের পক্ষে আইন তৈরির অপরাধে ইতিহাস আমাদের দায়ী করবে।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ধর্ষণ প্রতিরোধে সামাজিক, আধ্যাত্মিক ও আইনগত লড়াই চালিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।