ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেছেন, রাষ্ট্রপতি দ্বিমুখি বক্তব্য জাতির সাথে শঠতার শামিল। রাষ্ট্রপতি তার বক্তব্যে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করায় প্রধান বিচারপতির মতামতের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হল এবং তিনি উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দকে শপথ বাক্য পাঠ করান। প্রায় আড়াই মাস পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নেই এমন মন্তব্য জাতির সাথে শঠতার শামিল এবং উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। এ বক্তব্যে মাধ্যমে তিনি অসত্য বলেছেন এবং গোপনীয়তার শপথ ভঙ্গ করেছেন। গণঅভ্যূত্থানে গঠিত নতুন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে থাকার তিনি নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরের ভুমিকায় অবতীর্ণ ও দলীয় সংকীর্ণতার উর্দ্ধে উঠতে পারেননি। তাই অনতিবিলম্বে তার পদত্যাগ করা প্রয়োজন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দলের, প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মাওলা, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, মাওলাদার দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান।
অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, পতিত সরকারের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় সংগঠিত হয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন প্রশাসনে বসে তারা দেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত। বিভিন্নবাজার সিন্ডিকেটে জড়িত থেকে বাজারে বিশৃঙ্খলা করে উত্তপ্ত করছে।
তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের সাথে পুরো দেশের ১৮ কোটি মানুষের ম্যান্ডেট রয়েছে। আপনারা দুর্বল নন। আপনারা আরও কঠোর হোন। ফ্যাসিবাদ নির্মূলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে রাখুন। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করুন। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিন।