পবিত্র রমজানে নিত্যপণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা, বাজার সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেয়া, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও যানজট নিরসনকল্পে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হলে সরকারকে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে মুসলিম উম্মাহকে সিয়াম সাধনায় সুযোগ করে দেয়া সরকারের দায়িত্ব। সেইসাথে দেশময় আইন শৃঙ্খলার যে অবনতি, চুরি-ডাকাতি বৃদ্ধি তা বন্ধে উদ্যোগ গ্রহণ করা। অন্যথায় এই সরকারের দ্বারা একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হবে।
আজ শনিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, রমজানে যানজট নিরসনসহ সারাদেশে যোগাযোগব্যবস্থায় জনভোগান্তি দূর করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন। মুফতী রেজাউল করীম বলেন, রমজান মাসে ট্রাফিক জ্যাম নিরসনে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে হবে। একই সাথে সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, মিথ্যা, পাপাচার, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, হত্যা, ধর্ষণ, জুলুম, নির্যাতনের অবসান ঘটাতে হবে।
তিনি বলেন, রমজান মাসের সম্মানে বিশ্বের অনেক অমুসলিম দেশেও নিত্যপণ্যের দাম কমানোর নজির আছে। ব্যতিক্রম এই দেশে। রমজান মাস এলে কৃত্রিমভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির একটা আশঙ্কা তৈরি হয়, অপরাধী চক্র সক্রিয় হয় ছিনতাই, চুরি, ডাকাতিসহ নানা নৈরাজ্য কর্মকাণ্ডে। অতীতে সরকারের মদদপুষ্ট সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজ গ্রুপ ও দলীয় সন্ত্রাসীরা জড়িত থাকত। বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার নির্দিষ্ট কোনো দলের সরকার নয়। তাদের মদদপুষ্ট সিন্ডিকেট বা চাঁদাবাজ গ্রুপ নেই। তাহলে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভয় কিসের?। তিনি মাহে রমজানের সম্মান রক্ষায় সবধরনের অশ্লীলতা বন্ধ, দিনের বেলা হোটেল রেস্তোঁরা বন্ধসহ সকল অন্যায় অপকর্ম রুখে দিতে কার্যকরী ব্যভস্থা গ্রহণ করতে হবে।