দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে -পল্লবীর বিশাল সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। পতিত সরকার ও ভারত মিলে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে চক্রান্তে মেতে উঠেছে।
তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার সরকার দেশ ছেড়ে পালানোর পর থেকে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ ও অকার্যকর করার জন্য শেখ হাসিনা ও মোদির নানা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত চলছেই। সংখ্যালঘু নির্যাতনের অজুহাত, জুডিশিয়ারি ক্যু, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আন্দোলন, আনসার আন্দোলন, পুলিশের অসহযোগিতাসহ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর রোকেয়া প্রাচীসহ কিছু উচ্ছিষ্টভোগীর উসকানিমূলক কথাবার্তা সরকারকে অস্থিতিশীল ও ব্যর্থ করার অপচেষ্টার অংশ ছাড়া কিছু নয়। এখন নতুন করে পাবর্ত্য চট্টগ্রামে মোটর সাইকেল চুরির মতো সামান্য ঘটনাকে পুঁজি করে সংঘাত-সংঘর্ষের মাধ্যমে পাহাড় অস্থিতিশীল করে তোলা হচ্ছে। এর পেছনেও পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও মোদির ষড়যন্ত্র কাজ করছে।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, পাবর্ত্য চট্টগ্রামে সংঘাত ও সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি চাকমারা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি লিখে দেশদ্রোহীর কাজ করেছে। এর দায়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা উচিত। এসবই সরকার উৎখাত ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে হুমকি। এসকল দেশবিরোধী চক্রান্ত কঠোরহস্তে অন্তর্বর্তী সরকারকে দমন করতে হবে।
আজ রবিবার বিকেলে রাজধানীর পল্লবীস্থ হারুন মোল্লা ঈদগাহ মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের পল্লবী থানা শাখার উদ্রোগে অনুষ্ঠিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্র-জনতার গণ বিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা,সংখানুপাতিক (চজ) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে চক্রান্তের প্রতিবাদ এবং ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবীতে সংগঠনের পল্লবী থানা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, সহকারি মহাসচিব ও উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ। বক্তব্য রাখেন, হাফেজ মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, মুফতী মুহাম্মদুল্লাহ আনসারী, মাওলানা হাম্মাদ বিন মোশাররফ, সোহরাব হোসেন ফজলে প্রমুখ।
পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে। কোন প্রকার ছাড় নয়। তেমনিভাবে প্রশাসনের যে সকল কর্মকর্থা কর্মচারিরা এখনও কাজে যোগদান করেনি, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। দ্রব্যমূল্যের বাজার সিন্ডিকেটে এখনো পতিত সরকারের প্রেতাত্মারা রয়েছে, এদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিন। আইন শৃঙ্খলার উন্নতি করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমদ বলেন, নির্বাচনকে সন্ত্রাস ও কালো টাকার প্রভাবমুক্ত করতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। অর্থ্যাৎ মানুষ ব্যক্তিকে নয়, বরং প্রতীককে ভোট দিয়ে সংসদে সংখ্যানুপাতিক হারে প্রতিনিধির ব্যবস্থা করা। এতে করে মাদক ও খুনিরা নির্বাচিত হতে পারবে না।