দেশের প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে গতকাল রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।
তিনি বলেন, সচিবালয়ে এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা স্বাধীনতার ৫৩ বছরে আর কখনো ঘটেছে বলে আমাদের জানা নেই। এমন ঘটনায় দেশের মানুষ আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন। দেশের প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ নথি যদি ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে বাংলাদেশ কতটুকু সুরক্ষিত জনগণের মনে এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
আজ ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার, বরিশালের চরমোনাই মাদরাসা মিলনায়তনে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উচ্চপর্যায়ের দায়িত্বশীলদের সমন্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
এতে আলোচনা করেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সহ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও সহকারী মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ এছাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের প্রমূখ।
পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় যে ভবনে ঐ সব ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত হতে পারে বলে অনেকের আশংকা । এজন্য শুধু একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বসে থাকলে চলবে না, একাধিক ব্যাক্তি ও সংস্থাকে দিয়ে গভীরভাবে তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কারণ খুঁজে বের করে তার প্রতিবেদন জনসম্মুক্ষে প্রকাশ করতে হবে। প্রয়োজনে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে দিয়ে পৃথক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস এর প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর বলেন, সচিবালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ছিলেন সাম্প্রতিক সময়ে তাঁদের কর্মতৎপরতা, দায়িত্ব পালনের বিস্তারিত কিছু অনুসন্ধান করতে হবে। এদের মধ্যে কেউ দায়িত্ব পালনে উদাসীন বা অবহেলা করে থাকলে তাঁদেরকে আইনের আওতায় এনে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে হবে।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, সেতু মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রাকটর ও কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পত্তি অর্জন করে আঙ্গুল ফুলে বটগাছ হয়েছে এদের কোন সম্পৃক্ততা ঘটনার সাথে থাকলে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠিন বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। পীর সাহেব চরমোনাই দেশের গুরুত্বপুর্ণ ও স্পর্শকাতর সকল স্থাপনা নিরাপত্তা আরো জোরদার ও নিচ্ছিদ্র করার আহবান জানান।